বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগ টি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখাযায় বর্তমানে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন মানুষ এ রোগ এ আক্রান্ত। ২০২৫ সাল এর মধ্যে দ্বিগুন আর ও বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ আর প্রেক্ষাপটে দেখা যাই , যে সংখ্যার দিক থেকে দশম তম অবস্থানে আছে ডায়াবেটিকস আকারে । এই রোগটি এখন আমাদের আশেপাশে দেখতে পাই। তাহলে কথা হলো কোনো ডায়াবেটিস রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
আজকে আমরা আলোচনা করবো
১. ডায়াবেটিস কি
২. ডায়াবেটিস কোনো হয় ?
৩. ডায়াবেটিস হলে কি সমস্যা হতে পারে ?
৪. ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে কি কি করণীয় ?
ডায়াবেটিস কি: আমাদের শরীরের পেটের ঠিক উপরের অংশে অগ্নাশয় বলে ছোট্ট একটি গ্রন্থি আছে দেখতে অনেকটা পাতার মতো, এ অগ্নাশয় থেকে একটা রস নিঃসৃত হয় যাকে আমরা বলি ইনসুলিন। ইনসুলিন হলো একটা হরমোন এটা আমাদের স্বাভাবিক বিপাক ক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমরা খাবারের মাধ্যামে যে শর্করা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি যেমন মিষ্টি ,ভাত ,পাউরুটি এগুলো হজমের পর আমাদের রক্তের চলে যায় এবং রক্তে চিনি বা গ্লুকোজ এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ইনসুলিন এর কাজ হলো এই চিনি বা গ্লুকোজ কে শরীরের বিভিন্ন কোষে নিয়ে যাওয়া যেমন লিভার, মাংস পেশিতে এনে শক্তি বা ক্যালোরি বৃদ্ধি করে। কোনো কারণে এই ইনসুলিনটি আর নিষ্কৃত না হয় অথবা ইনসুলিনটি অকার্যকর হয়ে ওঠে তাহলে রক্ততে চিনি বা গ্লুকাজে এর মাত্রা বেড়ে যাই তাকে আমরা ডায়াবেটিকস বলে।
ডায়াবেটিস কোনো হয় ?
প্রথম উদহারণ হলো যখন অগ্ন্যাশয় নামক গ্রন্থটি ধ্বংস হয়ে যাই সেটা হলো টাইফোন ডায়াবেটিস। টাইফোন ডায়াবেটিস সাধারণত ছোট শিশুদের হয়।
দ্বিতীয়টির উদহারণ হলো tapto ডায়াবেটিকস। বর্তমানে আমাদের দেশে যে ডায়াবেটিস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে তা হলো tapto ডায়াবেটিস।
তাহলে tapto ডায়াবেটিস কোনো হয় ?
যখন কোনো কারণে আমাদের শরীরে স্থূলতা বাড়ে যাই ,দেখা যাই আমাদের মেদ বা পেট মোটা হয় তখন ইনসুলিন তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। এটা কিভাবে হয়, আমরা যে খাবার খাই সে খাবারের থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়, সেই শক্তি আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি। কোনো কারণে যদি খাদ্য গ্রহণ এর মাত্রা আমাদের স্বাভাবিক যে কাজকর্ম বা এক্সারসাইজ এর তোলনায় বেশি হয় তাহলে যে পরিমান খাবার আমরা খাবো শেষ পর্যন্ত ওই খাবারটা চর্বি হিসেবে আমাদের শরীরে জমতে থাকবে এবং এই চর্বিটি যদি পেটে বেশি আকারে জমে তাহলে ইনসুলিন তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে এটাকে আমরা বলি ইনসুলিন রেসিস্টেন্স। যার ফলে শরীরে রক্তে চিনি বা গ্লুকাজের পরিমান বাড়ে যাই। চিনির পরিমান অস্বাভাবিক আকারে বাড়ে গেলে তখনি ডায়াবেটিস রোগটি সৃষ্টি হয়।
ডায়াবেটিস হলো একটি নীরব ঘাতক। উপর থেকে বোঝা যাই না যে আপনার ডায়াবেটিস আসে। ভিতরে ভিতরে আপনাকে এটি নিঃশেষ করে ফেলবে অনেকটা ঘুনে পোকার মতো।
আমরা যদি চিন্তা করি একটা পানির পাইপ এর কথা যার ভিতর দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে পানি প্রভাবিত হোসে দীর্ঘদিন ধরে দেখা যাই এটার গায়ে শিশা বা লেড জমতে থাকে। জমতে জমতে এক সময় এটি বন্ধ হয়ে যাই ,ঠিক একই ভাবে কারো ডিয়াবেটিক দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাহলে রক্ত নালীর গায়ে চর্বি জমতে থাকে জমতে জমতে এক সময় এই রক্ত নালীগুলো বন্ধ হয়ে যাই। যদি এই ঘটনাটি আমাদের ব্রেণ তাহলে যেটা হবে স্টর্ক বা প্যারালাইসিস। যদি হার্ট এ হয় হার্টএটাক, যদি কিডনিতে হয় কিডনি অকেজো হয়ে যাবে,যদি চোখে হয় দির্ষ্টি শক্তি ব্যাহত হবে এবং যদি পায়ে হয় পায়ের আঙ্গুল কাটে ফেলতে হতে পারে। এগোলো সবই হলো ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে। আবার যদি এরকম হয় ডায়াবেটিস হটাৎ করে বেশি হয় তাহলে রোগী পানি শূণ্য হয়ে যাই ,রোগীর প্রেসার নাম যাই ,অজ্ঞেন হয়ে যাই জেক আমরা বলি ডায়াবেটিস এমার্জেন্সি। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিঃসা না নিলে রোগীকে আর বাঁচানো সম্ভব হয় না।
ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা যাদের বেশি।
স্থলতা : বর্তমান বিশ্বে একটি ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে আমরা খুব কম হাটা চলা করি সেই তুলনাই আমরা খুব বেশি ফাস্ট ফুড খাই। যার ফলশ্রতিতে আমাদের ওজন খুম দ্রুত বেড়ে যাই এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে বেড়ে যাই। আবার দেখা যাই যাদের বাবা মা ডায়াবেটিস আসে তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে বাড়ে যাই।
যদি কারো হিপের্টেনশান বা হাই ব্লাডপ্রেসার বা রক্তে অতিরিক্ত চর্বি বা কোলোস্ট্রল থাকে তার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে